ভূমিকম্পের ছায়া বলয় কাকে বলে ?
ভূমিকম্পের ছায়া বলয়
ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা উপকেন্দ্র থেকে ১০৫° কৌণিক দূরত্বের বাইরে ভূমিকম্পের S তরঙ্গ এবং ১০৫⁰-১৪৩⁰ এর মধ্যে ভূমিকম্পের P তরঙ্গ লক্ষ করা যায় না কারণ - পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের পদার্থ গুলি কঠিন, তরল ও সান্দ্র অবস্থায় থাকে ফলে 'S' তরঙ্গ যেহেতু তরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে যেতে পারেনা, তাই 'S' তরঙ্গ তরল মাধ্যমে প্রবেশ করা মাত্র নষ্ট হয়ে যায় আবার 'P' তরঙ্গ যখন কঠিন মাধ্যম থেকে তরল মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন পদার্থের ঘনত্বের তারতম্যের জন্য তরঙ্গের প্রতিসরণ ঘটে, তাই উপকেন্দ্র থেকে ১০৫ থেকে ১৪২" কৌণিক দূরত্বে তরঙ্গের প্রতিসরণের জন্য এটি আর লক্ষ্য করা যায়না। অর্থাৎ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ১২০⁰ - ১৪৩° কৌণিক দূরত্বের মধ্যে যেখানে S এবং P তরঙ্গ পৌঁছাতে পারেনা, তাকে ভূমিকম্পের ছায়া বলয় বলে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে প্রফেসর বেনো গুটেনবার্গ ছায়া অঞ্চল আবিষ্কার করেন।
বৈশিষ্ট
১) P ও S তরঙ্গ ছায়া বলয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না।
২) ছায়া বলয় ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ১২০⁰ - ১৪৩° কৌণিক দূরত্বের মধ্যে অবস্থান করে।
৩) P ও S তরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট ছায়া বলয়ের পরিমাণ যথাক্রমে 26.5% ও 37%
কথোপকথনে যোগ দিন