পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর - তৃতীয় অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি Class 5 Amader Poribesh Questions Answers ক্লাস 5 পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ তৃতীয় অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি
পঞ্চম শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ (Class Five Amader Poribesh) এর তৃতীয় অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ পরিচিতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলি নিচে দেওয়া হলো। নিচে দেওয়া এই Class V Poribesh Questions and Answers (ক্লাস 5 পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর) তৃতীয় অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলি আগামী পরীক্ষায় খুবই আসার সম্ভবনা রয়েছে। তোমারা যারা এবছর পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা দেবে, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়লে নিশ্চয়ই অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
ক্লাস 5 আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায়
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী কোনটি?
উত্তর: তিস্তা নদী।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর নাম করো।
উত্তর: কালজানি, রায়ডাক, নাগর, পুনর্ভবা, আত্রাই, টাঙন ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের দক্ষিণভাগে কোন কোন জেলা আছে?
উত্তর : উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ ভাগে রয়ে এবংছে উত্তর দিনাজপুর জেলা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ও মালদহ জেলা।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ ভাগ কোন ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলের অন্তর্গত?
উত্তর : উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ ভাগ উত্তরের সমভূমি অঞ্চলের অন্তর্গত।
প্রশ্নঃ দার্জিলিং-এ কোন পর্বতশ্রেণি আছে?
উত্তর : সিংগালিলা ও দার্জিলিং পর্বতশ্রেণি।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের বরফগলা জলের নদী কোনগুলি?
উত্তর: তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা, জলডাকা, সংকোশ।
প্রশ্নঃ তিস্তা নদী কোথা থেকে উৎপন্ন ও কোথায় গঠিত হয়েছে?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী ভিস্তা সিকিমের ডেমু হিসনার থেকে উৎপন্ন হয়ে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়ে বাংলাদেশের যমুনা নদীতে মিশেছে।
প্রশ্নঃ তোর্সা নদী কোথায় উৎপন্ন ও কোথায় পতিত হয়েছে?
উত্তর: তোর্সা নদী দক্ষিণ তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা থেকে সৃষ্টি হয়ে জলঢাকা নদীতে পতিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ জলঢাকা নদী কোথায় উৎপন্ন ও কোথায় পতিত হয়েছে?
উত্তর : জলঢাকা ভুটানের বিদাং হ্রদ থেকে সৃষ্টি হয়ে দার্জিলিং, জুলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়ে ধরলা নামে বাংলাদেশের যমুনা নদীতে মিশেছে।
প্রশ্নঃ মহানন্দা নদী কোথায় উৎপন্ন ও কোথায় পতিত হয়েছে?
উত্তর : মহানন্দা নদী দার্জিলিং জেলার ডাঙগুলি পর্বতের পাগলাঝোরা নামক ঝরনা (ঝোরা) থেকে সৃষ্টি হয়ে মালদহ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মায় মিশেছে।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের বরফগলা জলের নদীতে খুব স্রোত কেন?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের বরফপালা নদীগুলি খাড়া, ওপর থেকে তীব্র বেগে নীচের দিকে নামছে, তাই স্রোত বেশি।
প্রশ্নঃ নিত্যবহ নদী কাকে বলে?
উত্তর : যেসব নদীতে সারাবছর জল থাকে এবং বয়ে যায়, তাকে নিত্যবহ নদী বলে। দিনেরবেলায় সূর্যের তাপে। কিছুটা বরফ গলে। জল হয়ে খাড়া পর্বত থেকে হুড়মুড় করে না নেমে আসে। এভাবেই নিত্যবহ নদীর সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ মহানন্দা নদীর দুটি উপনদীর নাম লেখো?
উত্তর: মেচি ও বালাসন।
প্রশ্নঃ নদিয়া জেলায় কোন কোন নদী রয়েছে?
উত্তর : নদিয়া জেলায় ভাগীরথী, জলসী, মাথাভাঙা, চূর্ণী ও ইছামতী নদী রয়েছে।
প্রশ্নঃ উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ ভাগের ভূমির চাল কোন দিকে?
উত্তর : উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ ভাগের ভূমির ঢাল উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং কিছুটা পশ্চিম থেকে পূর্বে। এই অঞ্চলের উচ্চতা ৪০ মিটার থেকে ৫০ মিটার।
প্রশ্নঃ কার্শিয়াং শহরটি কোন পর্বতশ্রেণির ওপর অবস্থিত?
উত্তর : ডাও হিল
প্রশ্নঃ তরাই অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও অলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিণ অংশ, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের উত্তর আংশের ভূমিকাগকে নিয়েই আই অঞ্চলটি গঠিত। এই অঞ্চলটি স্যাতস্যাতে নিম্নভূমি বলে একে পাদদেশীয় সমভূমিও বলা হয়।
প্রশ্নঃ ডুয়ার্স কাকে বলে
উত্তর: তিস্তা নদীর পুর্বদিকেরা তরাই সমভূমিকে ডুয়ার্স বলে।
প্রশ্নঃ সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তর: সভ্য মানুষের নানান কাজকর্মকে একসঙ্গে সভ্যতা বলে।
প্রশ্নঃ নদীমাতৃক সভ্যতা কাকে বলে?
উত্তর : পুরোনো যুগে নদীর ধারেই সভ্যতা গড়ে উঠত। নদী থেকেই পাওয়া যেত পানীয় জল, সেচের জল, যানবাহনের সুবিধা ইত্যাদি। নদী ছিল সেখানকার মানুষদের কাছে মায়ের মতো তাই ওইসব সভ্যতাকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।
প্রশ্নঃ দিয়ারা অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর : মালদহ জেলার কালিন্দী নদীর দক্ষিণ অংশের স্থানীয় নাম দিয়ারা। এই অঞ্চল গঙ্গার নবীন পলিমাটি দ্বারা গঠিত। তাই এই জমি খুব উর্বর, শস্যশ্যামলা ও ঘনবসতিপূর্ণ। এই অংশের উচ্চতা ১৫ মিটার থেকে ২০ মিটার।
প্রশ্নঃ পর্বত ও পর্বতশ্রেণি কাকে বলে
উত্তর: বছর বিস্তৃত, সুউচ্চ শতবিশিষ্ট বস্তুর ভূপ্রকৃতির স্বাভাবিক ভাবে গড়ে ওঠা শিলাস্তূপকে পর্যন্ত বলে। যেমন:- হিমালয় পর্বতশ্রেণি। আবার অনেকগুলি পর্বত একসঙ্গে একটা আলোর প্রসারিত হলে তাকে পর্বতশ্রেণি বা পর্বতমালা বরের পরতের শিখরদেশকে শুরু বা চূড়া বলে। যেমন- সাদাকফু শুভ।
প্রশ্নঃ কোথায় যেতে গেলে বনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়?
উত্তর : দার্জিলিং।
প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলের কয়েকটি স্থান ও দ্বীপের নাম লেখো।
উত্তর: সুন্দরবন অঞ্চলের কয়েকটি দ্বীপ হল সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, খালি পাথরপ্রতিমা, সজনেখালি, গোসাবা, পূর্বাশা ইত্যাদি। এর মধ্যে সাগরদ্বীপ সবচেয়ে বড়ো।
প্রশ্নঃ সুন্দরবনে কয়টি দ্বীপ আছে?
উত্তর সুন্দরবনের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গের অংশে আছে ১০২টি দ্বীপ। এর মধ্যে ৪৮টায় ঘন বন রয়েছে। সেখানে কোনো বসতি নেই। আর বাকি ৫৪টায় মানুষ বন কেটে বসতি গড়ে তুলেছে।
প্রশ্নঃ গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের মাটি কেমন
উত্তর : গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের দক্ষিণে সুন্দরবনের মাটি নোনা। আর বাকি অঞ্চলের মাটি পলিমাটি সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই পলিমাটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়(১) বেলেমাটি, (২) এঁটেল মাটি (৩) দোআঁশ মাটি
প্রশ্নঃ সুন্দরবন অঞ্চলের নদীগুলির সম্পর্কে লেখো। উত্তর মাতলা, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, রায়মঙ্গল, গোসাবা ইত্যাদি সুন্দরবন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নদী।
প্রশ্নঃ সুন্দরবনের বিখ্যাত প্রাণী ও উদ্ভিদ কোনটি?
উত্তর: বিশার সুন্দরবনের বিখ্যাত প্রাণী হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও বিখ্যাত উদ্ভিদ হল সুন্দরী গাছ।
প্রশ্নঃ শ্বাসমূল কাকে বলে?
উত্তর : কোনো কোনো মূল মাটি থেকে ওপরে ওঠে ও তার সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয় গাছ। এই ধরনের মূলকে বলে শ্বাসমূল।
প্রশ্নঃ ঠেসমূল কাকে বলে?
উত্তর : সুন্দরবনের ঈষৎ নোনা জল ও কাদায় জন্মায় একধরনের গাছ। তাদের দু-রকম মূল। এই মূল মাটির গভীরে যায় ও গাছকে মাটিতে আটকে রাখে। এই মূলকে বলে ঠেসমূল।
প্রশ্নঃ ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ কাকে বলে?
উত্তর: সুন্দরবনে মিশে আছে সমুদ্রের জল। ওই ঈষৎ নোনা জল ও কানায় জন্মায় এক ধরনের গাছ। তাদের দুই ধরনের মূল দেখা যায় ঠেসমূল ও শ্বাসমূল। এই ধরনের গাছকে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ বলে। যেমন : গেওয়া, বাইন, গরান, সুন্দরী ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ বক্সা-জয়ন্তি পাহাড় কোথায় অবস্থিত? কীজন্য বিখ্যাত?
উত্তর: আলিপুরদুয়ার জেলার একেবারে উত্তরে ভুটান সীমান্তের কাছে বক্সা ও জয়ন্তি পাহাড় অবস্থিত। এখানে আছে বক্সা বাঘ বন। আর আছে শকুন সংরক্ষণ কেন্দ্র। এ ছাড়া ওই বনে আছে ভালুক, হাতি, হরিণ, অজগর, বাইসন এবং নানারকমের পাখি, নানা রঙের প্রজাপতি। এই জঙ্গলের একদিক দিয়ে ভুটানে যাওয়ার রাস্তা এবং আর-এক দিক দিয়ে যাওয়া যায় বাংলাদেশের রংপুরে। আর আছে বক্সা দুর্গ।
প্রশ্নঃ ৰক্সা দুর্গ কীজন্য বিখ্যাত?
উত্তরা করা অঞ্চলে আছে বিখ্যাত বক্সা দুর্গ। এক সময় এই দুর্গ ছিল ভুটানের অধীনে। ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ সেনাপতি কর্নেল ওয়াটসন এই দুর্গ দখল করেন। তখন থেকেই এই দুর্গ ভারতের দুর্গ হিসেবে পরিচিত পরে যাঁরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতেন, তাঁদের অনেককে ব্রিটিশ সরকার এখানে বন্দি রাখত।।
প্রশ্নঃ জলদাপাড়া অভয় অরণ্যে কী কী আছে?
উত্তর : জলদাপাড়া অভয় অরণ্যে অনেক হাতি, একশন গণ্ডার, চিতাবাঘ, বাইসন, নানা ধরনের পাখি আছে।
প্রশ্নঃ জলদাপাড়া অভয় অরণ্যটি কোথায়?
উত্তর : আলিপুরদুয়ার জেলার তোর্সা নদীর তীরে এবং ফালাকাটা ও মাদারিহাটের মাঝখানে বিখ্যাত জলদাপাড়া অভয় অরণ্যটি অবস্থিত।
প্রশ্নঃ তাল সমভূমি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : উত্তর দিনাজপুর জেলার উত্তরাংশ, মালদহ জেলার উত্তর-পশ্চিমাংশকে তাল সমভূমি বলে। এখানে প্রায়ই কন্যা হয়। "ভাল" কথার মানে নীচু জমি তাই এখানে অনেক বিল, জলাশয় দেখা যায়।
প্রশ্নঃ চাপড়ামারি ও মহানন্দা অভয় অরণ্যে কী কী দেখা যায়?
উত্তর: চাপড়ামারি ও মহানন্দা অভয় অরণ্যে নানা রকমের পাখি, জন্তু, গাছপালা দেখা যায়।
প্রশ্নঃ বরেন্দ্রভূমি কাকে বলে?
উত্তর: উত্তর দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশির ভাগ এবং মালদহ জেলার পূর্বাংশ নিয়ে গঠিত অঞ্চলকে বরেন্দ্রভূমি বলে। এখানে প্রাচীন পলি বা ভাবর মাটি দেখা যায়। মহালদার পুবদিকেই এই বরেন্দ্রে ভূমি দেখা যায় এই অঞ্চলের মাটি অনুর্বর ও শার।
প্রশ্নঃ বরেন্দ্রভূমিতে কী কী আছে?
উত্তর: বরেন্দ্রভূমির এই অনুর্বর অংশে চাষবাস ভালো হয় না। তাই এখানে বনজ ফল আছে, তবে বনভূমি ঘন নয়। এই বনে নিম, তেঁতুল, পিপুল, জাম, বাবলা, বাঁশ ইত্যাদি গাছ দেখা যায়। বনে অনেক ছোটো ছোটো বন্য জন্তুও দেখা যায় আর রায়গঞ্জে কুলিক নদীর তীরে আছে কুলিক পাখিরালয়।
প্রশ্নঃ গোরুমারা জাতীয় উদ্যান ও চাপড়ামারি অভয় অরণ্য কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: জলপাইগুড়ি জেলার চালসার দক্ষিণে জলঢাকা নদীর পশ্চিমে গোরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চালসার উত্তরে জলঢাকা নদীর পশ্চিমে চাপড়ামারি অভয় অরণ্য অবস্থিত।
প্রশ্নঃ মালদহ জেলা বিখ্যাত কেন?
উত্তর : মালদহ জেলা ফজলি আমের জন্য বিখ্যাত। এক-একটা এক কেজিরও বেশি ওজন হয়। এই আম খুব সুস্বাদু বিদেশেও এর খ্যাতি আছে।
প্রশ্নঃ 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি লিখেছিলেন ১৯০৫ সালে। সেইসময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড কার্জন। তিনি মনে করলেন, ভারতের স্বাধীনতা "আন্দোলনকে স্তব করতে হলে বাংলাকে ভাগ করতে হবে। তখন নাম ছিল বঙ্গদেশ, এই বঙ্গদেশকে দু-ভাগে ভাগ করা হলে পশ্চিমমাংশের নাম হয় পশ্চিম, যা এখন ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। আর পূর্বাংশের নাম হয় পূর্ববঙ্গ। এই পূর্ববাই পরে পূর্ব পাকিস্তান, আর এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুনঃ
কথোপকথনে যোগ দিন