পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর part 2 - দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ Class 5 Amader Poribesh Questions Answers ক্লাস 5 আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ
পঞ্চম শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ (Class Five Amader Poribesh) এর দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলি নিচে দেওয়া হলো। নিচে দেওয়া এই Class V Amader Poribesh Questions and Answers (ক্লাস 5 পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর) দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলি আগামী পরীক্ষায় খুবই আসার সম্ভবনা রয়েছে। তোমারা যারা এবছর পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা দেবে, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়লে নিশ্চয়ই অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
ক্লাস 5 আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: মাটি কাকে বলে?
উত্তর: বহুকাল ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনক শিলার পরিবর্তনের ফলে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে জৈব ও অজৈব পদার্থসমৃদ্ধ যে পাতলা ভঙ্গুর স্তর সৃষ্টি হয়, যা উদ্ভিদ জন্মানাের অনুকূল, তাকে মাটি বলা হয়।
প্রশ্ন: কোন মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম?
উত্তর: বেলে মাটিতে জলধারণ ক্ষমতা কম
প্রশ্ন: কোন প্রাণী মাটির উর্বরতা বাড়ায়?
উত্তর: কেঁচো মাটির উর্বরতা বাড়ায়
প্রশ্ন: কোন মাটি দিয়ে বাড়ি বানানো হয়?
উত্তর: এঁটেল মাটি দিয়ে বাড়ি বানানো হয়
প্রশ্ন: কোন কোন সার মাটির উর্বরতা বাড়ায়?
উত্তর: জৈবসার মাটির উর্বরতা বাড়ায়
প্রশ্ন: মাটি কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: মাটি সাধারনত ৩ প্রকার। যথাঃ এঁটেল মাটি, বেলে মাটি এবং দোআঁশ মাটি।
প্রশ্ন: কোন মাটির কণাগুলো বড়ো আকারের হয়?
উত্তর: ফেলে মাটির কণাগুলো বড়ো আকারের হয়
প্রশ্ন: মাটিতে অস্বাভাবিক উপাদানগুলি কি কি?
উত্তর: মাটির অস্বাভাবিক উপাদান গুলি হলো পলিথিনের কুচি , অ্যালুমিনিয়ামের কুচি , পেনের রিফিল টুকরো ইত্যাদি ।
প্রশ্ন: আগেকার দিনে কিভাবে ইট তৈরি করা হতো?
উত্তর: আগেকার দিনে কাঁদায় মিহি গুঁড়ো বালি মিশিয়ে ইট তৈরি করা হতো।
প্রশ্ন: এঁটেল মাটিতে জল দিলে কি হয়?
উত্তর: এঁটেল মাটিতে জল দিলে মাটিতে কাঁদার পরিমাণ বেশি হয় এবং মাটি আঠার মতো হয়ে যায়।
প্রশ্ন: ভূমির জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণ লেখো?
উত্তর: ভূমির জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণ হল ভূমির জলকে অপচয় করা এবং সেচের জন্য নলকূপ ও হাত পাম্প ব্যবহার করা।
প্রশ্ন: কি কি বস্তু ভূমিক্ষয় ঘটায়?
উত্তর: পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, ওষুধের মোড়ক ইত্যাদি বস্তু ভূমিক্ষয় ঘটায়
প্রশ্ন: ভুমির জলস্তর কিভাবে বাড়ানো যায়?
উত্তর: ভুমির জলস্তর বাড়ানোর জন্য আমাদের বেশি করে জলাশয় তৈরি করতে হবে এবং বৃষ্টির জল ধরে রাখতে হবে।
প্রশ্ন: কলকাতায় বণ্যার প্রবণতা দেখা দেওয়ার কারণ কি?
উত্তর: কলকাতায় বণ্যার প্রবণতা দেখা দেওয়ার কারণ হল কলকাতায় ড্রেনের জল নদীতে পড়ার ফলে নদীর নিচে ময়লা আবর্জনা জমে নদীর গভীরতা কম হচ্ছে ফলে বৃষ্টির সময় নদীর জল উপচে বণ্যার প্রবণতা দেখা দেয়।
প্রশ্ন: সুন্দরবন অঞ্চলের জলের স্বাদ নোনতা কেনো?
উত্তর: সুন্দরবন অঞ্চলের জলে লবনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে সুন্দরবন অঞ্চলের জলের স্বাদ নোনতা
প্রশ্ন: বিভিন্ন প্রকার জলাশয়ের নাম লেখো?
উত্তর: বিভিন্ন ধরনের জলাশয়গুলি হল — ডোবা , পুকুর , খাল , বিল , ঝিল , ঝোরা , ভেড়ি , বাঁওড় , নয়ানজুলি , হ্রদ প্রভৃতি ।
প্রশ্ন: কলকাতা শহরের আবর্জনা ও নোংরা জল কোন সাগরে পাতিত হয়?
উত্তর: কলকাতা শহরের আবর্জনা ও নোংরা জল বঙ্গোপসাগরে পাতিত হয়
প্রশ্ন: আমাদের দেশে কত বছর আগে সিমেন্ট তৈরি শুরু হয়েছিল?
উত্তর: আমাদের দেশে আজ থেকে প্রায় 120 বছর আগে সিমেন্ট তৈরি হয় এবং প্রায় 70-80 বছর আগে সিমেন্টের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয় ।
প্রশ্ন: প্রথম সিমেন্ট কবে তৈরি হয়?
উত্তর: প্রায় 200 বছর আগে প্রথম সিমেন্ট তৈরি হয়।
প্রশ্ন: বাড়ির নোংরা জল পুকুরে মিললেও পুকুরের জল নোংরা হয় না কেনো?
উত্তর: পুকুরের জলে বাতাসের অক্সিজেন মিশে থাকে । এই অক্সিজেন , জলে থাকা নোংরার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে সেগুলি ভেঙে দেয় । আর মাছ ও অন্যান্য জলজ জীব নোংরা কিছুটা খেয়েও নেয় , ফলে পুকুরের জল তত নোংরা হয় না ।
প্রশ্ন: মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলে কেনো?
উত্তর: মানুষ একই সাথে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য উপাদান যেমন উদ্ভিদ, এবং প্রাণীজ, যেমন মৎস্য, পশু এবং অন্যান্য জীব যেমন মাশরুম, শৈবাল ও মস ইত্যাদি নিয়মিত খেয়ে থাকে বলে মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলে।
প্রশ্ন: লতানো গাছের আকর্ষ কি কাজে লাগে?
উত্তর: লতানো গাছের আকর্ষ গাছটিকে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: সঞ্চয়ী পাখি কাকে বলা হয়?
উত্তর: যে সব পাখি খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে তাকে সঞ্চয়ী পাখি বলে
প্রশ্ন: সার কাকে বলে দুটি সারের নাম লেখো?
উত্তর: যে সকল রাসায়নিক পদার্থ কার্বন, ফসফরাস, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং যা উদ্ভিদের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি প্রদান করে তাদেরকে সার বলে। দুটি সারের নাম হলো কম্পোষ্ট সার ও সবুজ সার
প্রশ্ন: সার কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: সার দুই প্রকার যথা জৈব সার ও অজৈব সার
প্রশ্ন: জৈব সার কাকে বলে?
উত্তর: যেসব সার জীবের দেহ থেকে প্রাপ্ত অর্থাৎ উদ্ভিদ বা প্রাণির ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রস্তুত করা যায় তাদেরকে জৈব সার বলে। যেমনঃগোবর সার,সবুজ সার,খৈল ইত্যাদি
প্রশ্ন: রাসায়নিক সার কাকে বলে?
উত্তর: যেসব সার রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় তাকে রাসায়নিক সার বলে।
প্রশ্ন: কম্পোস্ট সার কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর: গৃহস্তলিতে যে সমস্ত বজ্রপদার্থ গুলি থাকে সেগুলিকে কোনো এক নিদিষ্ট জায়গায় ফেলে সেগুলিকে পঁচিয়ে কম্পোষ্ট সার তৈরি করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে উদাহরণ দাও?
উত্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে একটি পদার্থ বিশিষ্ট হয়ে এক বা একাধিক পদার্থের পরস্পরের সংস্পর্শে এসে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া উদাহণ হলো দুধে লেবুর রস মিশিয়ে ছানায় পরিণত হওয়া।
প্রশ্ন: জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশে আণুবীক্ষণিক জীবসহ উদ্ভিদ এবং প্রাণীকূলের সমাবেশে যে বৈচিত্র্যময় জীবমণ্ডল গড়ে ওঠে, তাকে ‘জীব-বৈচিত্র্য’ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের উদ্ভিদ, প্রাণী ও আণুবীক্ষণিক জীবসমূহের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বাস্তুতন্ত্র গড়ে ওঠে, সেই বাস্তুতন্ত্রে অগণিত নানা ধরনের জীব প্রজাতির সমাহারকে বা সমাবেশকে ‘জীববৈচিত্র্য’ বলে।
প্রশ্ন: প্রাণীরা কিভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল বর্ণনা করো?
উত্তর: ১) উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন:ফলমূল, কাণ্ড ও শাখা প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
২) উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ থেকে ওষুধ তৈরি হয় যা প্রাণীরা ব্যবহার করে।
৩) প্রাণীরা অক্সিজেনের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: পরিবেশ থেকে শকুন কমে যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর: শকুন একটি শিকারী পাখি এবং শকুন মৃত প্রাণী খেয়ে জীবনযাপন করে কিন্তু গবাদি প্রাণীদের ব্যাথা কমাবার জন্য ডাইক্লোফেনাল ওষুধ ব্যবহার করার ফলে যখন সেই প্রাণীটির মৃতদেহ শকুন খাই তারা অসুস্থ্য হয়ে পরে এবং তাদের মৃত্যু ঘটে ফলে পরিবেশ থেকে শকুন কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: উদ্ভিদজগৎ ও প্রাণীজগৎ কাকে বলে?
উত্তর: সমস্ত প্রকার উদ্ভিদ নিয়ে যে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তাকে উদ্ভিদজগৎ বলে।
সমস্ত প্রকার প্রাণী নিয়ে যে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তাকে প্রাণীজগৎ বলে।
প্রশ্ন: মেরুদণ্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলা হয় উদাহরণ দাও?
উত্তর: যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদন্ড আছে তাদের মেরুদন্ডী প্রাণী বলে। যেমন মানুষ, গরু, পাখি ইত্যাদি
যেসব প্রাণীর দেহে মেরুদন্ড নেই তাদের অমেরুদন্ডী প্রাণী বলে। যেমন কেচো, সাপ ইত্যাদি
প্রশ্ন: ভারতের চারটি হটস্পটের নাম লেখো?
উত্তর: ভারতের চারটি হটস্পটের নাম হলো হিমালয়, পশ্চিমঘাট, ইন্দো-বার্মা অঞ্চল এবং সুন্দাল্যান্ড।
প্রশ্ন: পুকুরের জল দূষণ মুক্ত রাখার উপায়গুলি লেখো?
উত্তর: ১) পুকুরে যাতে অযথা কচুরিপানা ও অন্যান্য আগাছা না জন্মায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২) পুকুরের জলে গবাদি পশু স্নান করানো বন্ধ করতে হবে।
৩) দূষিত অপ্রয়োজনীয় পদার্থ তথা মানুষের মলমূত্র, বিভিন্ন ময়লানাশক পদার্থ পুকুরে ফেলা বন্ধ করতে হবে।
প্রশ্ন: জল শোধনের পদ্ধতি গুলি লেখো?
উত্তর: দুটি উপায়ে জল শোধন করা যাই ১) প্রকৃতিক উপায় বাতাসের অক্সিজেন জলের সাথে মিশে জল শোধন করা হয়। ২) কৃত্রিম উপায় জলের সাথে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে জল শোধন করা হয়
প্রশ্ন: বৃষ্টির জল ধরে রাখলে আমাদের কি উপকার হয়?
উত্তর: বৃষ্টির জল ধরে রাখলে সেই জল কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে আবার বৃষ্টির জল ধরে রাখলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বৃদ্ধি পাবে।
প্রশ্ন: মাটির নিচের পানিও জল অপচয়ের তিনটি কারণ লেখো?
উত্তর: মাটির নিচের পানিও জল অপচয়ের তিনটি কারণ হলো
১) কৃষি ক্ষেত্রে পানিও জলের ব্যবহার
২) গৃহস্তলির কাজে পানিও জলের ব্যবহার
৩) কলের নল খোলা রাখা
প্রশ্ন: রাসায়নিক পদ্ধতিতে জল শোধনের একটি উপকারিতা ও অপকারিতা লেখো ?
উত্তর: উপকারিতা: রাসায়নিক পদ্ধতিতে খুব দ্রুত জল শোধন করা যায়।
অপকারিতা: রাসায়নিক পদ্ধতিতে জল শোধনের ফলে মাছ বা অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
কথোপকথনে যোগ দিন