পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর - চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ Class 5 Amader Poribesh Questions Answers ক্লাস 5 পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ

পঞ্চম শ্রেণীর আমাদের পরিবেশ (Class Five Amader Poribesh) এর চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ ও সম্পদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলি নিচে দেওয়া হলো। নিচে দেওয়া এই Class V Poribesh Questions and Answers (ক্লাস 5 পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর) চতুর্থ অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলি আগামী পরীক্ষায় খুবই আসার সম্ভবনা রয়েছে। তোমারা যারা এবছর পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা দেবে, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়লে নিশ্চয়ই অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।

ক্লাস 5 আমাদের পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায়

প্রশ্ন: মালভূমি অঞ্চলের মাটি কেমন দেখতে?
উত্তরঃ মালভূমি অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভভাবে লাল মাটি দেখতে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: ইট তৈরি করতে কি লাগে?
উত্তরঃ সাধারণত মাটি থেকে ইট তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন: প্রকৃতি ও মানুষ মিলে কি তৈরি হয়?
উত্তরঃ প্রকৃতি ও মানুষ মিলে তৈরি করে সম্পদ
প্রশ্ন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনকাল কত?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনকাল ৫৫‌ বছর।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজ কে গঠন করেন?
উত্তরঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।
প্রশ্ন: সম্পদ কি?
উত্তরঃ যে সব বস্তু বা উপাদান মানুষের চাহিদা মেটায় তাকে সম্পদ বলে।
প্রশ্ন: কোন ধরনের জমিতে ধান চাষ ভালো হয়?
উত্তরঃ প্রায় সব মাটিতেই ধান চাষ ভালো হয় কিন্তু মসৃণ, দোআঁশ মাটির মতো উচ্চ জল ধারণ ক্ষমতার মাটি প্রায়শই ধান চাষের জন্য উপযোগী।
প্রশ্ন: কাঠ কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ কাঠ দিয়ে আসবারপত্র তৈরি করা হয় এছাড়া কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন: খনি থেকে যে সম্পদ পাওয়া যায় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ খনি থেকে যে সম্পদ পাওয়া যায় তাকে খনিজ সম্পদ বলে।
প্রশ্ন: কে বিশ্ব কবি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব কবি নামে পরিচিত
প্রশ্ন: কে বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: কবে স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়?
উত্তরঃ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয়।
প্রশ্ন: আনন্দমঠ কার লেখা?
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে পরলোক গমন করেন?
উত্তরঃ 1941 সালের 7 ই আগস্ট জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে পরলোক গমন করেন ।
প্রশ্ন: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: রামমোহন কে ভারত পথিক বলে কে অভিহিত করেছেন?
উত্তরঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামমোহন রায়কে ভারতপথিক উপাধি দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: ডিরোজিওর পুরো নাম কি?
উত্তরঃ হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়ো
প্রশ্ন: কবে বিধবা বিবাহ আইন চালু হয়?
উত্তরঃ ১৮৫৬ সালের ২৬ শে জুলাই, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তত্কালীন গর্ভনর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি এই বিধবা বিবাহ আইন পাস করেন।
প্রশ্ন: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ কবে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন?
উত্তরঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ ১৩মে ১৯৬২ সালে স্বাধীন ভাবে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
প্রশ্ন: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ কবে ভারতরত্ন সম্মান লাভ করেন?
উত্তরঃ ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ ভারতরত্ন সম্মান লাভ করেন
প্রশ্ন: কত সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৯২০ সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দলন শুরু হয়
প্রশ্ন: গান্ধীজি কত সালে আইন অমান্য ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেন?
উত্তরঃ গান্ধীজি ১৯৪২ সালের ৮ ই আগস্ট আইন অমান্য ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেন
প্রশ্ন: মাস্টারদা কত সালে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুঠ করেন?
উত্তরঃ ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল 
প্রশ্ন: মাতঙ্গিনি হাজরা গান্ধী বুড়ি নামে পরিচিত কেন?
উত্তরঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারী একজন বীরাঙ্গনা নারী হচ্ছেন মাতঙ্গিনী হাজরা। গান্ধীজির মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে তিনি গান্ধিবুড়ি নামে পরিচিত হন।
প্রশ্ন: পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা সব মিলিয়ে একত্রে তৈরি হয় আমাদের পরিবেশ।
প্রশ্ন: প্রকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ আমাদের চারপাশে যেসব উপাদান প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যেসব উপাদান মানুষ সৃষ্টি করতে পারেনা সেসব উপাদানকে একত্রে প্রকৃতিক পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন: কৃত্রিম পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পরিবেশ মানুষ দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি করা হয় তাকে কৃত্রিম পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক সম্পদ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদ গুলি হলো - ধান, সূর্যের আলো, জমি, পানি, জলবায়ু, গাছ-পালা, পশু পাখি, বিভিন্ন ধরনের খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি হলো প্রাকৃতিক সম্পদ। 
প্রশ্ন: প্রকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ হলো প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক উপাদান, যেগুলো মানুষের অভাব পূরণে সক্ষম। 
প্রশ্ন: মানব সম্পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ মানব যখন সম্পদে পরিণত হয়, তখন তাকে মানব সম্পদ বলে। মানবসম্পদ বা মানব মূলধন বলতে কর্মীদের মধ্যে এমন জ্ঞান, দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, প্রতিভা ও অন্যান্য অদৃশ্যমান গুণ বা যোগ্যতা থাকাকে বোঝায়, যার অর্থনৈতিক মূল্য আছে।
প্রশ্ন: সাংস্কৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল শক্তির সাহায্যে মানুষ নিরপেক্ষ উপাদান গুলিকে সম্পদে পরিণত করে তাকে সাংস্কৃতিক সম্পদ বলা হয়।
প্রশ্ন: সমাজ সংস্কারে ভগিনী নিবেদিতা অবদার কি কি?
উত্তরঃ সমাজ সংস্কারে ভগিনী নিবেদিতার গুরুত্বপুর্ণ অবদান রয়েছে। ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন একজন সমাজকর্মী এবং শিক্ষাবিদ। তিনি ভারতের স্বাধীনতার প্রবল সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি ভারতের নারীদের উন্নয়ন ও তাদের শিক্ষিত করার জন্য উদ্যেগী হন। ভগিনী নিবেদিতা তার গুরু স্বামী বিবেকাননন্দের আদর্শ মেনে রামকৃষ্ণ মিশনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে সমাজ কল্যাণের কাজে নিযুক্ত হন। তিনি শিক্ষিত সমাজের মধ্যে সংস্কৃতি ও বেদ দেতান্তর জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছিলেন।
প্রশ্ন: সিধু কানু কে ছিলেন?
উত্তরঃ সিধু কানু ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। 
প্রশ্ন: সূর্যসেন কে ছিলেন?
উত্তরঃ সূর্যসেন ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা বিপ্লবী। তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ১৯৩০-সহ বহুবিধ বিপ্লবের অধিনায়ক। তার পুরো নাম সূর্যকুমার সেন। সংক্ষেপে সূর্যসেন নামে অধিক পরিচিত। তবে মাষ্টার দা নামে সহযোদ্ধাদের কাছে পরিচিত ছিলেন।
প্রশ্ন: টেরাকোটা কি ?
উত্তরঃ 'টেরাকোটা' হলো একটি লাতিন শব্দ। 'টেরা' অর্থ মাটি আর 'কোটা' অর্থ পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সব রকমের জিনিস পত্রকে টেরাকোটা বলে।
প্রশ্ন: স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগস্ট আমাদের ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছিলো। মহান বিপ্লবীদের রক্তে রাঙা আমাদের এই স্বাধীনতা। ১৫ ই আগস্ট আমাদের সকল ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন কারণ এই দিনে আমরা সকল ভারতীয় ২০০ বছর পর ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি এবং এটি আমাদের জাতীয় উৎসব ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রমীদের মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বসু যারা জীবনের শেষ পর্যন্ত ভারত স্বাধীন হওয়ার জন্য কঠোর সংগ্রাম করেছিলেন । তাদের সেই কঠোর সংগ্রামের ফল আজ আমরা স্বাধীন। স্বাধীন আমাদের ভারতবর্ষ। আমাদের তেরঙ্গা একটার প্রতীক। আমাদের দেশে সকল মানুষের মধ্যে মিলবন্ধন রয়েছে এবং এটি আমাদের দেশের প্রতীক।
প্রশ্ন: বঙ্কিচন্দ্র চট্টপাধ্যায় স্মরণীয় কেন?
বঙ্কিচন্দ্র চট্টপাধ্যায় স্মরণীয় কারণ বঙ্কিচন্দ্র চট্টপাধ্যায় হলেন বাংলা উপন্যাসসের জনক কারণ, বঙ্কিমচন্দ্রই প্রথম পান্ডাত্যরীতি অবলম্বন করে একটি পরিপূর্ণ আখ্যান রচনা করেন। উপন্যাস একটি পান্ডাত্য শিল্প-ধারণা। এখানে একটি ক. প্লট থাকবে; খ. আখ্যানবস্তুর দেশকালগত অবস্থান ও পরিবর্তন দেকা যাবে; গ. চরিত্রের গঠন ও বিবর্তন, পরিণতি ও পরিব্যক্তি থাকবে; ঘ. সময় ও স্থানের ঐক্য থাকবে। এই বিচারে বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের আগে কেউ সর্বাঙ্গ সার্থক উপন্যাস লিখতে পারেন নি। ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’ ও ‘আলারের ঘরের দুলাল’ উপন্যাস-যাচাইয়ের মাপকাঠিতে সর্বাঙ্গ সার্থক নয়। ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫) রচনা করে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস রচনার স্বাক্ষর রাখেন। এরপর তিনি সে ধারাকে বেগবান করেন এবং একের পর এক সার্থক উপন্যাস রচনা করে চলেন বলে বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংরা উপন্যাসের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন: রাজা রামমহন রায় সম্পর্কে লেখো?
রাজা রামমহন রায় একজন বিশিষ্ট ভারতীয় সংস্কারক ছিলেন এবং তাকে আধুনিক ভারতের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজা রামমোহন রায় বাংলার রাধানগর গ্রামে ১৭৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রমাকান্ত রায় এবং মাতার নাম তারিণী দেবী। তিনি ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং একটি হিন্দু সংস্কার আন্দোলন বর্ণপ্রথা এবং অন্যান্য সামাজিক বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। তিনি ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকারের ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন। ভারতে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে তিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। ভারতে সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে রায়ের অবদান তাকে দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। ১৮৩১ সালে তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। রাজা রামমোহন রায় ৬৪ বছর বয়সে ১৮৩৩ সালে মারা যান।
প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে লেখো?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মায়ের নাম সারদা দেবী। শৈশবে তিনি ভানুসিংহ নামে পরিচিত ছিলেন । শৈশবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ওনর্মাল স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। স্কুলের পরিবেশ তার ভালাে লাগত না তাই তিনি স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে লেখাপড়া করতে থাকেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি বিলেতে গিয়েছিলেন। বিলেত থেকে ফিরে তিনি কবিতা, গল্প, গান, নাটক লেখা শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেকগুলি নাটক, উপন্যাস ও গল্প লিখেছেন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজিতে ‘গীতাঞ্জলি’কাব্যগ্রন্থের জন্যে রবীন্দ্রনাথ নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ দেশকে খুব ভালােবাসতেন। বাঙালিদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে তিনি 'রাখীবন্ধন’ উৎসব প্রচলন করেছিলেন। বঙ্গভঙ্গ স্বদেশি আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। 1915 সালে ইংরেজ সরকার রবীন্দ্রনাথকে “নাইটহুড” প্রদান করা করে কিন্তু 1919 সালের পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি 'নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জাতীয়সংগীত ‘জনগনমন অধিনায়ক’ রবীন্দ্রনাথের রচনা। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1941 সালের 7 ই আগস্ট জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে পরলোক গমন করেন ।

আরও পড়ুনঃ

কথোপকথনে যোগ দিন