গৌর বা গারা কি? গৌর কাকে বলে উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য
গৌর কাকে বলে উদাহরণ গৌর বা গারা কি? গৌর উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে
গৌর বা গারা কাকে বলে
মরু অঞ্চলে কোন কোন জায়গায় কোমল শিলার ওপর কঠিন শিলা অবস্থান করলে বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে নিচের কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উপরের শিলা ততটা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। শিলার এই অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে নিচের অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু স্তম্ভের মত হয় এবং ওপরের অংশ কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বিরাট আয়তনের ব্যাঙের ছাতার ব্যাঙের ছাতার ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে তাকে গৌর (Gour) বা গারা বা মাশরুম রক (Mushroom rock) বা পেডাস্টাল রক (Pedastral rock) বলে।
উদাহরণ : আফ্রিকার সাহারা ও ইরানের মরূভূমিতে অসংখ্যা গৌর দেখা যায়।
গৌর জার্মানিতে পিজফেলসেন গ্রেট বেসিনে হুডু বলে।
গৌর উৎপত্তি
গৌর গড়ে ওঠার প্রধান কারনগুলি হলো প্রথমত মরু অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের সময় ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ থেকে ২ মিটার উচ্চতার মধ্যে অধিক পরিমাণে বালি কাকর থাকায় ওই উচ্চতা পর্যন্ত অধিক অবঘর্ষ ক্ষয় হয়। দ্বিতীয়ত কঠিন ও কোমল শিলা অনুভূমিক ভাবে সজ্জিত হয়ে বৃহৎ শিলাখন্ড রূপে অবস্থান করলে নিচের কোমল শিলা উপরের ওই ১ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত যে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় তীব্র ক্ষয় হয় সেই ক্ষয়ের ফলে দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হয় কিন্তু উপরের অংশ তেমন ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। তৃতীয়ত ঋতু ভেদে ভিন্ন বায়ু প্রবাহের কারণে নিচের অংশটি ক্রমশ সরু হয়ে যায় ফলে নিম্নাংশ সরু ও উপরের দিক প্রশস্ত হয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো ভূমিরূপ গৌর গঠিত হয়।
বৈশিষ্ট্য
১. ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতির জন্য একে মাশরুমও বলা হয়
২. একাধিক গৌরকে গারা বলে
৩. এদের মস্তকদেশ প্রশন্ত ও অসম্পূর্ণ হয়।
৪. এরা অবশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে ।
৫. মরুভূমিতে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ক্ষয়কার্যের ফলে গৌর সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ
কথোপকথনে যোগ দিন