হিমপ্রাচীর কাকে বলে? উদাহরণ ও বৈশিষ্ট্য
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো হিমপ্রাচীর কাকে বলে? হিমপ্রাচীর কোথায় দেখা যায় উদাহরণ ও বৈশিষ্ট্য । এটি ভূগোলের খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি প্রশ্ন যা প্রায়শই পরীক্ষায় এসে থাকে তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ।
হিমপ্রাচীর কি
যে সীমারেখা দ্বারা উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের নীল জলরাশি এবং শীতল সমুদ্রস্রোতের গাঢ় সবুজ জলরাশি পরস্পর মিলিত হয় এবং উভয় জলরাশির সীমারেখা স্পষ্ট বোঝা যায় তাকে হিমপ্রাচীর বলে।
হিমপ্রাচীরের উদাহরণ
আটলান্টিক মহাসাগরের কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্ব উপকূলে হিমপ্রাচীর অবস্থিত। এখানে গাঢ় নীল উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের সঙ্গে শীতল ও গাঢ় সবুজ ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলনে হিমপ্রাচীর সৃষ্টি হয়েছে।
হিমপ্রাচীরের বৈশিষ্ট্য
- এটি হলো সম্পুর্ণ বিপরীতধর্মী ও বিপরীমুখী দুই সমুদ্রস্রোতের মিলন স্থল।
- দুটি সমুদ্রস্রোতের মিলন হওয়ার ফলে এখানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে ।
- হিমপ্রাচীরে উষ্ণ নীল জলের নিচে শীতল সবুজ জলের স্পষ্ট সীমারেখা তৈরি হয়।
- দুটি স্রোতের মিলনের ফলে এটি মগ্নচরা সৃষ্টির সহায়ক
- হিমপ্রাচীর এর প্রাচীর শব্দটি দুটি স্রোতের উচ্চতার পার্থক্যকে না বুঝিয়ে দুই স্রোতের রঙের তারতম্যকে বোঝায়।
- হিমপ্রাচীরের তাপমাত্রা 10° সেন্টিগ্রেড।
হিমপ্রাচীরের প্রভাব
১) হিমপ্রাচীরের উষ্ণ স্রোতের জন্যে শীতল স্রোতবাহিত হিমশৈল গুলি গলে যায় ।
২) এখানে উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনের ফলে ঝড়ঝঞ্ঝা ও কুয়াশার সৃষ্টি হয়। যার জন্য জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হয়।
৩) হিমপ্রাচীরের ফলে পৃথিবী বিখ্যাত মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন : জর্জেস ব্যাংক, গ্র্যান্ড ব্যাংক, রকফল ব্যাংক।
৪) মগ্নচড়া অঞ্চলে প্রচুর প্লাঙ্কটন সৃষ্টি হয় যার ফলে সামুদ্রিক মৎসের আগমন ঘটে ও মৎস্যকেন্দ্র গড়ে উঠে।
কথোপকথনে যোগ দিন